গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের মোট জনসংখ্যার শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীতার শিকার এক বৃহৎ জনগোষ্ঠীকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হতে উত্তোরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদফতরের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, শিক্ষা উপবৃত্তি, ঋণ কার্যক্রম ও ভাতা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মসূচীরও একটি ভুমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে যা বিশ্বের উন্নত গুটিকয়েকটি দেশে সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে প্রতিবন্ধী অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ১৬ ধারা মতে প্রতিটি যোগ্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার রয়েছে।
১৯৭৮ সালে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবকদেরকে বিভিন্ন প্রকার কারিগরী প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে ইআরসিপিএইচ স্থাপন করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত আসন সংখ্যা ১৩৫টি বর্তমান নিবাসীর সংখ্যা ৩৫। এ পর্যন্ত পুনর্বাসিতের সংখ্যা ২৮৮৪।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা ও সহায়ক উপকরণ তৈরী, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও পুনর্বাসনকল্পে ১৯৭৮-৮৭ সনে প্রকল্পের মাধ্যমে ‘সিডা’ ও সুইডিশ ফ্রি মিশনের কারিগরি সহায়তায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র(ইআরসিপিএইচ) স্থাপন করা হয়। কেন্দ্র প্রতিষ্ঠালগ্নে চালুকৃত প্রশিক্ষণ কোর্সগুলোর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিবন্ধীদেরকে পুনর্বাসন বর্তমানের বাজার চাহিদার সাথে যুগোপযোগী নয়। ফলে অত্র কেন্দ্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধীরা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে। বর্তমানে সাধারণ একটি চাকুরীর জন্য হাজার হাজার শিক্ষিত ও শারিরীকভাবে সক্ষম বেকার ছেলে-মেয়ে হন্যে হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এহেন পরিস্থিতিতে স্বল্প শিক্ষিত উপযুক্ত প্রশিক্ষণবিহীন একজন চাকুরী প্রার্থীর অবস্থান সহজেই অনুমেয়। প্রতিবন্ধীদের অবস্থান ও অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইআরসিপিএইচ কাজ করে যাচ্ছে।